এবার ভারতের কানপুর টেস্ট শেষে কেউ ফিরছেন বাংলাদেশে, আবার অনেকেই যোগ দিচ্ছেন টি-২০ দলে। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পাড়ি জমাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে, পরিবারের কাছে। সেখানে চলতি মাসেই এক টুর্নামেন্টে খেলবেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা পর্যন্ত কানপুর টেস্টই সাকিবের শেষ বলে ধরে নেয়া যায়। সাকিবের দেওয়া নিরাপত্তার নিশ্চয়তা- শর্তের সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া এসেছে; তাতে সাকিবের দেশের মাটিতে অবসরের সম্ভাবনা ক্ষীণ। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যা বলেছেন, তাতে সাকিবের দেশে আশার সম্ভাবনা একবারে উড়িয়ে দেওয়াও যায় না। সবমিলিয়ে বিষয়টি আছে দোদুল্যমান অবস্থায়। এরই মাঝে নতুন খবর, অর্ধেকেরও বেশি কমছে টাইগার অলরাউন্ডারের বেতন!
এদিকে সাকিব টি-২০ থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২৪ বিশ্বকাপে। কানপুর যদি শেষ টেস্ট হয় তাহলে দুই সংস্করণে সাকিব আর কেন্দ্রীয় চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকছেন না। আর বিসিবি ক্রিকেটারদের বেতন দিয়ে থাকে সংস্করণ অনুযায়ী ও ক্যাটাগরির ভিত্তিতে আলাদাভাবে।
তিন সংস্করণের চুক্তিতেই ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে আছেন সাকিব। টেস্টে তার বেতন সাড়ে ৪ লাখ, ওয়ানডেতে ৪ লাখ ও টি-২০তে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। কোনো ক্রিকেটারের নাম যদি তিন সংস্করণে থাকে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন।
এই হিসাবে সাকিব প্রতি মাসে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতন পেতেন। এছাড়া তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা। এই ভাতাসহ প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি পেতেন সাকিব। টেস্ট ও টি-২০ থেকে অবসরের কথা বলায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুক্তি থেকে সাকিবের নাম কাটা যাচ্ছে। সঙ্গে বন্ধ হবে দুই সংস্করণের বেতনও।
টেস্ট চুক্তি থেকে সাকিব পেতেন সাড়ে ৪ লাখ আর টি-২০র চল্লিশ ভাগ তথা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই দুই সংস্করণের টাকা সাকিব আর পাবেন না। একমাত্র ওয়ানডে চুক্তির জন্য সাকিব মাসে পাবেন ৪ লাখ টাকা করে। লম্বা সময় ধরে সাকিব বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতনধারী ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন। সেই জায়গা এখন নাজমুল হোসেন শান্তর দখলে। তিন সংস্করণে এ+ ক্যাটাগরিতে থাকা শান্তর বেতন ৭ লাখ ৯০ হাজার, সঙ্গে যোগ হবে অধিনায়ক ভাতা ১ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে বেতন-ভাতা থেকে তার আয় ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।